টায়ারে বল ফেলে সুইং প্র্যাকটিস করছিলেন পেসাররা। কোচদের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ফিল্ডিং অনুশীলন করান লম্বা সময় ধরে। পুরো দল অনুশীলনে ভীষণ একাগ্র। ক্রিকেটারদের এমন নিবিষ্ট হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে- ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি২০ বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করা। তবে আপাতত ভাবনাটা থাকছে আরব আমিরাতের (ইউএই) বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজটি জিতে নেওয়া।

নিরঙ্কুশ ফেভারিট হিসেবে ইউএই-এর বিপক্ষে প্রথম টি২০ সিরিজটি জিততে চাওয়া স্বাভাবিক। এই লক্ষ্য পূরণে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজই স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে খেলা।

গত টি২০ বিশ্বকাপ থেকেই আমিরাতে ভালো করতে পারছে না বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ মিলে টানা ৭ ম্যাচ হেরেছে। পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার মোক্ষম সুযোগ আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জিতে। গত বিশ্বকাপের মতো ভ্রান্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে যায়নি এবার।

গত এক বছরে দেশে-বিদেশে একটিও সিরিজ জিততে পারেনি তারা। সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে জিম্বাবুয়ের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজিত হয়ে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ায়। নতুন কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম চেষ্টা করছেন খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসের তলানি থেকে টেনে তুলতে, ‘ইমপ্যাক্ট ব্যাটিং’ স্লোগান সামনে রেখে ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক মানসিকতায় নিয়ে যেতে। এই কৌশল এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কিছুটা কাজেও দিয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বড় ইনিংসও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন সাকিবরা। বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে মারাত্মক কিছু ভুল না হলে অন্যরকম ফলও হতে পারত। এশিয়া কাপে যেটা হয়নি, আমিরাতের বিপক্ষে সেটাই করতে চান ক্রিকেটাররা।

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সিপিএল খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে থাকায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের মতো আমিরাতের বিপক্ষেও দলের নেতৃত্ব দেবেন সোহান। সেদিক থেকে পঞ্চপাণ্ডববিহীন টাইগারদের প্রথম সিরিজ এটি। এই পথচলা জয় দিয়ে শুরু করতে চান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। তিনি দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলেন, এই সিরিজ থেকে জয়ের ছন্দ নিয়ে নিউজিল্যান্ড যেতে চান। সমমনা ক্রিকেটারদের সে বার্তাই দিয়েছেন তিনি। খুব বেশি ভুল না করলে কাঙ্ক্ষিত জয় ধরা দিতে পারে টাইগারদের হাতে।

যদিও আইসিসির সহযোগী দেশ আমিরাতের বিপক্ষে খুব বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। এ দুই দল একবার করে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়ানডে এবং টি২০ এশিয়া কাপে। বাংলাদেশ দুটি ম্যাচই জিতেছিল। এবারও ধারাবাহিকতা থাকবে বলে বিশ্বাস টাইগারদের। দ্বিপক্ষীয় এই সিরিজ থেকে জয়ের পাশাপাশি আরও কিছু চাওয়া থাকবে কোচ শ্রীরামের।